নিউজ ডেস্ক::
উখিয়ায় নব-নির্বাচিত ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বে গ্রামীণ সালীশ বিচারের নামে বিচার কারকরা দেশের চলমান অাইনের বিরুদ্ধে শত শত মানুষের উপস্থিতে ৩ যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় গণধোলাই, শারীরিক ও মানসিক শাস্তি দিয়েছে। যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। গত ১৫ জুন (বুধবার) দুপুরের দিকে উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন জালিয়াপালং লম্বরী নামক স্থানে গরু চোরির অপরাধে জালিয়াপালং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত মেম্বার শামসুল অালম একই এলাকার ৩ যুবককে পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালীর জৈনক এক ব্যক্তির গরু চোরির অভিযোগে বিচারের নামে গরুর গলার সাথে ৩ যুবককে এক রশিতে বেঁধে যুবকদের সমগ্র গ্রাম ঘুরিয়ে পরর্বতী চাষের জমির মধ্যে হাঠু পানিতে নামিয়ে দেশের চলমান অাইনের বিরুদ্ধে মধ্যযুগীয় কায়দায় শাস্তি দেওয়া হয়। চোরির অপরাধে ঐ দিন সকালে জালিয়াপালং লম্বরী পাড়া এলাকার বাসিন্দা সামশুল অালমের পুত্র ইমরান (২৩), একই এলাকার শফিকুর রহমানের পুত্র মোঃ কামাল (২৫) ও মোঃ ছিদ্দিকের পুত্র মাহামুদুল হক (২৪) কে অাটক করে এলাকা বাসি গণধোলাই দিয়ে সামশু মেম্বারের কাছে নিয়ে গেলে এই ঘটনার জন্ম হয়। কিন্তু মেম্বার চোরদের থানয় সোর্পাদ কিং বা পুলিশকে খবর না দিয়ে এলার কিছু উশৃঙ্খল যুবকদের দিয়ে তাদের পুনরায় গণ পিটুনি দেয় এক পর্যায়ে গলায় রশি বেঁধে গরু অার ৩ যুবকে শাস্তি দেয়। অাটককৃত ৩ জনই সিএনজি চালক বলে জানাগেছে। এই সময় কয়েকজন যুবক এই বর্বরতার দৃশ্য মোবাইল ফোনে ছবি তোলে ও ভিডিও ধারন করে পেইসবুক ইউটিউপ সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
ছেড়ে দিলে সর্বত্রে তোলপাড় শুরু হয় এবং নেক্কার জনক এই ছবি ও ভিডিও গুলো দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে। এই নিয়ে এলাকায় মেম্বারের এ জগন্য কর্মকান্ডকে একটি রাজনৈতিক ক্ষোভের বহি প্রকাশ বলে অনেকে মনে করেছেন। কারণ সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সামশু মেম্বারকে ভোট না দেওয়া ও তার বিরুদ্ধে অার এক প্রার্থীর জন্য ভোট করার কারনে এই রকম শাস্তি দিয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে বলেছেন। এদিকে সন্দ্যায় উখিয়া থানা পুলিশ খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে অাসে। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পাঠকের মতামত